Kharkati Community Clinic

Kharkati Community Clinic

ওআরএস-ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট- ORS – Oral Rehydration Salt




ঔষুধের পরিমান:
 ORS – Oral Rehydration Salt ( ওআরএস-ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট)।
Sodium Chloride BP 1.30g; Potassium Chloride BP 0.75g; Sodium Citrate BP 1.45g; Anhydrous Glucose BP 6.75g।

যে উপসর্গ বা রোগে ব্যবহার করতে হবে: (১) ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা অথবা বমির কারণে শরীরে পানি স্বল্পতা।

সেবন মাত্রা: এক প্যাকেট ওরাল স্যালাইন আধা লিটার নিরাপদ পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে েএবং প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর যতটুকু সম্ভব ততটুকু খেতে দিতে হবে।

ব্যবাহারের সময়সীমা: তৈরীকৃত স্যালাইন ৮ ঘন্টা পর্যন্ত পান করা যাবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

সাবধানতা:
(১) উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সতর্কতা অবলম্বন করে স্যালাইন পান করতে হবে।
(২) খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রয়োজনীয় পাত্র, চামচ ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত থাকে।
(৩) স্যালাইন তৈরীর পূর্বে হাত ভাল করে সাবান দিয়ে নিরাপদ পানিতে ধুয়ে নেওয়া আবশ্যক। 
(৪) মিশ্রণের অনুপাত যেন ঠিক থাকে সে ব্যপারে সাবধান থাকা আবশ্যক।

মন্তব্য: চরম পানি স্বল্পতার লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই রেফার করতে হবে। ডায়াবেটিস (বহুমুত্র) রোগ থাকলে রোগীকে রেফার করতে হবে।

ডায়রিয়া চিকিৎসার জন্য স্যালাইন দ্রবণ

দ্রবণ প্রস্তুতকরণ: ১/২ লিটার বা ৫০০ মি.লি বিশুদ্ধ খাবার পানিতে প্যাকেটের সম্পূর্ণ উপকরণ গুলিয়ে নিতে হবে।

ব্যবহার নির্দেশিকা: গুলিয়ে নিতে হবে।

নবজাতক: ১২ ঘন্টায় ১/২ লিটার।

শিশু: বয়স অনুসারে পান করাতে হবে।

সতর্কতা: গরম পানি দিয়ে স্যালাইন দ্রবণ প্রস্তুত করবেন না প্রস্তুতকৃত দ্রবণ কোন ক্রমেই ফুটাবেন না।

১২ ঘন্টার পর ‍প্রস্তুতকৃত স্যালাইন ফেলে নতুন করে প্রস্তুত করতে হবে।

ডায়রিয়া হলে কী করবেন

(১) রোগের শুরু থেকেই নিয়মানুযায়ী এই স্যালাইন দ্রবণ খাওয়াতে থাকুন। বমি হলেও খাওয়ানো বন্ধ করবেন না।

(২) যদি ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে রোগীর অবস্থার কোন উন্নতি না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

(৩) দুধের শিশুকে দুধ ও বড়দের স্বাভাবিক খাবার দেয়া বন্ধ করবেন না। না খেলে রোগী আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।

(৪) অসুখ সারলে রোগীকে বেশী পুষ্টিকর খাবার খেতে দেবেন এতে রোগী তাড়াতাড়ি সবল হয়ে উঠবে।

(৫) ডায়রিয়া যাতে না হয় সে জন্য সব সময় কুয়া / পুকুর / নদির পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে বা টিউবওয়েলের পানি পান করবেন এবং রান্নার কাজে ব্যবহার করবেন।

(৬) খাওয়ার আগে বিশুদ্ধ পানিতে হাত ধুয়ে নেবেন।

(৭) সব খাবার ঢেকে রাখবেন।
Previous
Next Post »